নিজস্ব প্রতিবেদক:: কুশিয়ারা নদীতে বিলিন হচ্ছে জকিগঞ্জের রারাইগ্রাম। গ্রামের লোকজন ভাঙন আতংকের মধ্যে দিনযাপন করছেন। প্রায় ২০ বছর থেকে ভাঙন পিছু নিয়েছে গ্রামটির। সম্প্রতি সময়ে এ ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রবিবার রাতে কুশিয়ারা নদী রারাইগ্রামের অনেক ফসলী জমি ও বাড়ী ঘরে গ্রাস করে নিয়েছে। এরপরও ভাঙন থামছেনা। এতে নদীর তীর এলাকার লোকজন ভূমিহীন হওয়ার উপক্রম। রবিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রারাইগ্রামের হাজী আবুল খায়ের সিদ্দিকীর বাড়ী ঘরসহ বহু ফসলি জায়গা জমি নদীতে ধসে নেমেছে। সময় যত গড়াচ্ছে ভাঙন ততই মারাত্মক হচ্ছে।
রারাই গ্রামের আবুল খায়ের সিদ্দিকী জানান, আমরা বহুবার ভাঙন রোধ করতে সরকারের প্রতি দাবী জানালেও কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। আমাদের গ্রামের শতাধিক পরিবার নদীতেই হারিয়ে গেছে। বাংলাদেশের এপার ভেঙ্গে ভারতের ওপারে বিশাল চর গজিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ভূমি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন মাথা ব্যাথা নেই। বর্তমানে যে আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা রোধ করা না হলে রারাইগ্রাম কিছুদিনের মধ্যে নদীতেই বিলিয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও খোরশেদ আলম বলেন, বর্ষা মৌসমের পর ভাঙন কবলিত এলাকার একটি তালিকা ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। রারাইগ্রামে ব্লকের কাজ করা হবে। কবে নাগাদ কাজ করা হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অনুমানিক আড়াই বছর সময় লাগতে পারে। এর আগে এলাকাবাসী সেচ্ছাশ্রমে কাজ করে ভাঙন রোধের চেষ্ঠা করলে অনেকটা রোধ করা সম্ভব হতে পারে।
Leave a Reply